HSTU

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (HSTU): ইতিহাস

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (HSTU) বাংলাদেশের অন্যতম দ্রুত উন্নয়নশীল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃত। যদিও এটি ১৯৯৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে, তবে এর একাডেমিক ইতিহাস অনেক পুরোনো।

প্রতিষ্ঠার সূচনা: ১৯৭৯ থেকে ১৯৯৯

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৯ সালে ‘অ্যাগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (AETI)’ হিসেবে, যেখানে তিন বছর মেয়াদি কৃষি ডিপ্লোমা কোর্স চালু ছিল। এক দশকের মধ্যেই ১৯৮৮ সালে এটিকে ডিগ্রি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে উন্নীত করা হয় এবং নামকরণ হয় হাজী মোহাম্মদ দানেশ কৃষি কলেজ

বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর: ১৯৯৯

বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ ময়দানে এক জনসভায় হাজী মোহাম্মদ দানেশ কৃষি কলেজকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার ঘোষণা দেন। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর কলেজটির সমস্ত দায়িত্ব ও সম্পত্তি কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করা হয়।

গৌরবের দিন: ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৯৯

এই দিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৯৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে আনুষ্ঠানিকভাবে এর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এরপর অধ্যাপক আশানিসুর রহমানকে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং ১৯৯৯-২০০০ সেশনে প্রথম ব্যাচের ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়।

আইনগত স্বীকৃতি ও সম্প্রসারণ

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনটি জাতীয় সংসদে ৮ জুলাই ২০০১ তারিখে পাস হয় এবং ৮ এপ্রিল ২০০২ তারিখে গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। শুরুতে শুধুমাত্র কৃষি অনুষদ থাকলেও পর্যায়ক্রমে আরও ৮টি অনুষদ সংযুক্ত হয়।

বর্তমান অনুষদ ও বিভাগসমূহ

বর্তমানে HSTU-তে ৯টি অনুষদ ও ৪৫টি বিভাগ রয়েছে:

  1. কৃষি
  2. কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল
  3. ব্যবসায় শিক্ষা
  4. প্রকৌশল
  5. মৎস্য
  6. ভেটেরিনারি ও প্রাণিসম্পদ
  7. বিজ্ঞান
  8. সমাজবিজ্ঞান ও মানবিক
  9. স্নাতকোত্তর অধ্যয়ন

এছাড়াও রয়েছে Institute of Research and Training, যা গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা ও কৃষক ও গ্র্যাজুয়েটদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।

সেশনজটমুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা

অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে ব্যতিক্রমভাবে, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এখন পর্যন্ত সেশনজট মুক্তভাবে তার একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *